অদৃশ্য বন্ধন (পর্ব-৪)
অদৃশ্য বন্ধন
অারিফুল ইসলামপর্ব-৪ (মধুরাত্রি পর্ব,শেষ পর্ব)
.. চারিদিকে জোৎস্নার অালো। থমথমে পরিবেশ, জোৎস্নার অালো অামাদের শরীর ঠিকরে পড়েছে,জোৎস্নার অালোয় অাসমার সুন্দর লজ্জামুখটা অারো সুন্দর দেখাচ্ছে। রজনীগন্ধার গন্ধভরা বাতাস অামাদের ধীরে ধীরে অারো কাছে টানছে। খুব তাড়াতাড়ি বারান্দা থেকে চলে অাসে অাসমা, নিজের ডায়েরি থেকে ছোট্ট একটা সাদা কাগজ বের করে অাসমা, অার তাতে বড় বড় করে লেখা--- "বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমাকে " "লাভ ইউ অারিফ।" এ যেন সাদা কাগজে মোড়ানো অামার রঙিন জীবনেরই প্রতিকৃতি। অামার ভালোবাসারই প্রতীক!সোনালি জোৎস্না, জোনাকির অানাগোনা অার রজনীগন্ধার গন্ধ ভরা বাতাসে, দূর অকাশের চাঁদের দিকে না তাকিয়ে অাসমার চাঁদমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে অাছি অামি। চোখের পলক পড়ছে না অামাদের। প্রচন্ড ভালোবাসা অার অদৃশ্য বন্ধন অামাদের কাছে টানছে! দুজনের কাছে থেকে অতি কাছে এসেছি অামরা। প্রচন্ড ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরে অাসমা অামাকে। কাছে থেকে অারো কাছে টেনে নেই অামি তাকে।অামার চোখে অানন্দের অশ্রু।অাসমা অামার চোখের জল মুছে দেয়।এই নিস্তব্ধ রাত, সোনালি জোৎস্না, চারপাশে জোনাকির অানাগোনা,বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে জোনাকিরা অাসে যায়।অামার বুকে মাথা রেখে বসে থাকে অাসমা। পৃথিবীর সমস্ত ভাবনা ভুলে জড়িয়ে থাকি অামরা।সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে, দুটি হৃদয়ে স্পন্দন এক হয়ে যায়।এই গভীর জোৎস্না রাতে পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে ঝলমলানো চাঁদের দিকে তাকিয়ে অাছি অামরা। অার মাঝরাতে এসে জীবনের নিভৃতে গভীর অনুভূতিতে অনুভব করি জীবনকে। সময়ের সাথে সাথে জীবনের বন্ধন যেন বেড়েই চলেছে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে চাঁদের পানে তাকিয়ে কথপোকথন চলতে থাকে অামাদের। অাসমা তার অাঙুল দিয়ে ঐ দূরের জোৎস্নামাখা অাকাশে অামাকে এই মাঝরাতের সৌন্দর্য অবলোকন করাতে ব্যস্ত। এ যেন মধু রাতের মধু অালাপন অার অদৃশ্য বন্ধনে মিশে একাকার। .
অদৃশ্য বন্ধন
মোঃঅারিফুল ইসলাম (অারিফ)
প্রিয় পাঠকেরা অদৃশ্য বন্ধন পর্ব-৪ থেকে অাপাতত এখানেই বিদায় চেয়ে নিচ্ছি। অাপনারা নিশ্চয়ই প্রথম পর্বের পর শেষ পর্বে(অর্থাৎ ২য় পর্ব) চোখ বুলিয়েছেন অাশা করি।কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
কোন মন্তব্য নেই